কোর্ট ম্যারেজ এমন একটা টার্ম যা না আছে আইনে না আছে ধর্মে। কোর্ট ম্যারেজ কথাটা, কোথা থেকে এসেছে তা নির্দিষ্ট করে বলা প্রায় অসম্ভব। কারণ আইনের দৃষ্টিতে কোর্ট ম্যারেজ বলতে কিছু নেই। ধর্মীয় দৃষ্টিতেও কোর্ট ম্যারেজের কোন বিধান নেই। তাহলে প্রশ্ন এই বহুল প্রচলিত কথাটা কোথা থেকে এসেছে, কোর্ট ম্যারেজ এর নিয়ম কি । এই প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে সমাজের দৃষ্টি ভঙ্গি দেখতে হবে…
মনে করেন পাশের বাড়ির নিব্বি আর নিব্বা পালিয়ে গেছে। দুই দিন পরে জানলেন তারা কোর্ট ম্যারেজ করেছে। এমন অবস্থায় আপনার যদি কোর্ট ম্যারেজ সম্পর্কে জানা না থাকে, তাহলে আপনার মাথায় প্রথম আসবে… ও বাবা! কোর্টে দাঁড়ায় বিয়ে তাহলে তো অনেক বড় কিছু! জর্জ সাহেব বিয়ে দিয়েছে! এই বিয়ে খুব শক্তিশালী! এই বিয়ে নিয়ে যদি নিব্বি বা নিব্বা মা-বাবা ঝামেলা করে তাহলে তাদের জেল-জরিমানা হবে ইত্যাদি। কিন্তু সত্যটা হল, এটা বাংলাদেশের আইন অনুযায়ী বিবাহ হয়-ই নাই।
কোর্ট ম্যারেজ বলতে আমরা যা বুঝি
কথাটা শুনলেই মনে হয় কোর্টে বিয়ে হয়েছে, জর্জ সাহেবের সামনে দাঁড়িয়ে বিয়ে সম্পূর্ণ হয়েছে। বাস্তবতা হল, বাংলাদেশে যেখানে একটা মামলার রায় হতে ২-৪ বছর লেগে যায়, সেখানে কোর্টের সময় নেই, একটা বিয়ের জন্য বিশেষ সেশন করার। বিশেষ কিছু ক্ষেত্রে আদালতের রায়ে বিয়ে হতে পারে , কিন্তু সেটা কোর্ট মারেজ না রেজিস্ট্রেশন করে বিয়ে।
প্রচলিত কোর্ট ম্যারেজ কি
এই পর্যন্ত পড়ার পর মনে হবে তাহলে এই যে ছেলে মেয়েরা সচরাচর যেটা করে এবং বলে কোর্ট ম্যারেজ করেছি সেটা কি?। প্রচলিত কোর্ট ম্যারেজ হল একটা অঙ্গীকারপত্র/চুক্তিপত্র। যেখানে ছেলে মেয়ে একে অপরকে স্বেচ্ছায় স্বজ্ঞানে কারো দ্বারা প্রভাবিত না হয়ে বিয়েটা করতেছে সেটা লেখা থাকে।
অঙ্গীকারপত্র/চুক্তিপত্র হয় তিনশত টাকার নন জুডিশিয়াল স্ট্যাম্পে, যেখানে ছেলে মেয়ের স্বাক্ষর সহ একজন এডভোকেট, প্রথম শ্রেণীর ম্যাজিস্ট্রেট বা নোটারি পাবলিকের স্বাক্ষর থাকবে। এটা বিয়ে বা বিয়ের প্রমাণপত্র না , বরং নিজেদের স্বেচ্ছায় বিয়েটা করতেছে তার প্রমাণ পত্র।
তার মানে আমরা বিয়ের চুক্তিকে, কোর্ট ম্যারেজ বানিয়ে ফেলেছি। বিষয়টা এমন হল যে আপনি কারো নিকট জমি বিক্রয়ের একটা লিখিত চুক্তি করলেন আর সেই চুক্তিপত্র নিয়ে লোকটা বলতে লাগলো, আপনি তার নিকট জমি বিক্রয় করেছেন। এটা যেমন হাস্যকর একটি বিষয়, ঠিক তেমনি কোর্ট ম্যারেজ কে বিয়ে মনে করা হাস্যকর বিষয়।
কোর্ট ম্যারেজ কিভাবে আইনত সর্বদা গ্রহণযোগ্য হতে পারে
ছেলে মেয়ে যদি প্রাপ্ত বয়স্ক হয় এবং বাংলাদেশের আইন অনুযায়ী রেজিস্ট্রেশন সহ এই চুক্তিপত্রে আবদ্ধ হয়, তাহলে বিয়ে আইনের দৃষ্টিতে গ্রহণযোগ্য হবে। এমন কি ছেলে মেয়ের বাবা-মা মিথ্যা মামলা করলে এই চুক্তিপত্র অতিরিক্ত সাপোর্ট হিসাবে কাজ করবে। কারন এই চুক্তিপত্রের স্ট্যাম্পে ছেলে মেয়ে উভয় স্বেচ্ছায় স্বজ্ঞানে বিয়ে করতেছে এই মর্মে স্বাক্ষর থাকবে, এছাড়াও নোটারী পাবলিক এবং আইনজীবীর স্বাক্ষর থাকবে। কিন্তু রেজিস্ট্রেশন না করলে এটি শুধুমাত্র একটি চুক্তিপত্র বলে বিবেচিত হবে (রেজিস্ট্রেশন বিয়ের প্রধান দলিল)।
মুসলিমদের ১৯৭৪ অনুযায়ী বিয়ে রেজিস্ট্রেশন করতে হবে। (বাধ্যতামূলক, অন্যথায় শাস্তির বিধান রয়েছে)
হিন্দুদের ২০১২ অনুযায়ী বিয়ে রেজিস্ট্রেশন করতে হবে। (বাধ্যতামূলক না, মন্দিরের পুরোহিত দ্বারা বিয়ে করতে হবে)
খ্রিস্টানদের ১৮৭২ অনুযায়ী বিয়ে রেজিস্ট্রেশন করতে হবে। (বাধ্যতামূলক, অন্যথায় শাস্তির বিধান রয়েছে)
বৌদ্ধদের নিজস্ব রেজিস্ট্রেশন আইন নেই, তবে ১৮৭২ অনুযায়ী বিয়ে রেজিস্ট্রেশন করতে পারে।
দুই ধর্মের দুই জন হলে ১৮৭২ অনুযায়ী বিয়ে রেজিস্ট্রেশন করতে হবে। (বাধ্যতামূলক)
বিবাহ রেজিস্ট্রেশনের সুবিধা
এতো সময়ের আলোচনা থেকে বুঝতেই পারছেন ম্যারেজ রেজিস্ট্রেশন বাধ্যতামূলক, অন্যথায় শাস্তির বিধান রয়েছে।
ম্যারেজ সার্টিফিকেট বিয়ের দলিল, বিয়ের রেজিস্ট্রেশন সম্পন্ন করলে যে সনদ পাওয়া যায় সেটি হলো একটি বৈধ বিয়ের দলিল। রেজিস্ট্রেশন ছাড়া এই সার্টিফিকেট পাওয়া যায় না।
১। অনেক সময় সমাজের চোখে, সন্তানের বৈধ পরিচয় নিশ্চিত করতে রেজিস্ট্রেশন প্রয়োজন হয়।
২। বিদেশ গমন, ভ্রমণ, বাসাভাড়া, হোটেল বুকিং ইত্যাদি কারণে ম্যারেজ সার্টিফিকেট প্রয়োজন হয়।
৩। স্পাউস ভিসায় স্বামী স্ত্রী বিদেশ গমন করতে হলে ম্যারেজ সার্টিফিকেট লাগে।
৪। মুসলিমদের হজ করতে ম্যারেজ সার্টিফিকেট লাগে।
৫। রেজিস্ট্রেশনের ফলে বিয়ের সব তথ্য সরকারের তথ্য ভান্ডারে নথিভুক্ত হয় বলে এর সত্যতা অস্বীকার করা যায় না।
৬। প্রতারিত হবার সম্ভাবনা কম থাকে, বিশেষ করে নারীরা আইনে প্রদত্ত সকল সুরক্ষাসহ, তাদের অধিকার নিশ্চিত করতে পারে।
৭। স্ত্রী, স্বামী দ্বারা বা স্বামী, স্ত্রী দ্বারা প্রতারণার স্বীকার হলে এই রেজিস্ট্রেশন এর সনদই একমাত্র রক্ষা কবচ হিসেবে কাজ করবে।
৮। স্বামীর মৃত্যু পরবর্তীকালে স্বামীর সম্পত্তির বৈধ অংশ সহ অন্যান্য দাবি আদায়ে এই দলিলটি অত্যাবশ্যকীয়।
কোর্ট ম্যারেজ কি ইসলামে বৈধ/ জায়েজ
এক কথায় বললে কোর্ট ম্যারেজ কোন ধর্মেই সাপোর্ট করে না, এমন কি বাংলাদেশের আইনে কোর্ট ম্যারেজ বলতে কিছু নেই।
কোর্ট ম্যারেজ ইসলামে বৈধ কি না জানার আগে জানতে হবে ইসলামিক ভাবে বিয়ে সম্পূর্ন হবার শর্ত কি?।
হানাফি মাজহাব মতে বিয়ে বৈধ/ জায়েজ হবার শর্ত তিনটি, ( দুই জন সাক্ষী, ইজাব-কবুল এবং দেনমোহর)। এই তিনটি বিষয় সম্পূর্ন হলেই ইসলামিক ভাবে বিয়ে বৈধ/ জায়েজ হয়। তবে অন্যন্য ইমামদের মতে অভিভাবক উপস্থিত থাকা জরুরি।
১। দুই জন সাক্ষীঃ ইসলামিক ভাবে বিয়ে হতে অবশ্যই ২ জন পুরুষ সাক্ষী লাগবে (নারী স্বাক্ষী হলে ৪ জন)।
২। ইজাব এবং কবুলঃ ইজাব অর্থ প্রস্তাব এবং কবুল বা গ্রহণ। একপক্ষ বিয়ের প্রস্তাব দিবে আর এক পক্ষ উক্ত প্রস্তাব গ্রহণ করবে।
৩। দেনমোহরঃ একটি নির্দিষ্ট দেনমোহর ধার্য করতে হবে।
আমরা কোর্ট ম্যারেজের কাজটা তিনটা ধাপে ইসলামিক নিয়ম মেনে সম্পূর্ন করে দেই। কোর্ট ম্যারেজ এর নিয়ম অনুযায়ী বিয়ে, ম্যারেজ রেজিস্ট্রেশন, কাজীর মাধ্যমে ইজাব-কবুল। তিনটা ধাপেই দেনমোহরের পরিমাণ উল্লেখ থাকে এবং ২ জন স্বাক্ষী রাখা হয়। যোগাযোগঃ ০১৫১৫-৬১৫৭৮৬
হিন্দু কোর্ট ম্যারেজ কিভাবে করব
হিন্দুদের জন্যও একই হিসাব কোর্ট ম্যারেজ করার পাশাপাশি অবশ্যই ধর্মীয় ভাবে বিয়ে সম্পূর্ন করতে হবে। বিবাহ রেজিস্ট্রি সহ পুরোহিত দ্বারা মন্ত্র পাঠ, মালা বদল, সাত পাক, শাঁখা সিঁদুর ইত্যাদি কাজ সম্পন্ন করে মন্দিরে বিবাহ করতে হবে। ২০১২ অনুযায়ী বিয়ে রেজিস্ট্রেশন করতে হবে।
কোথায় কিভাবে করবেন, বিস্তারিত জানুন হিন্দু বিয়ে সম্পর্কে
কোর্ট ম্যারেজের বয়স
ইসলামিক ভাবে বিয়ের নির্দিষ্ট বয়স না থাকলেও বাংলাদেশের আইনে নির্দিষ্ট বয়স সীমা আছে।
সকল ধর্মের বিয়ের ক্ষেত্রে ছেলের বয়স ২১ এবং মেয়ের বয়স ১৮ হতে হবে। বিশেষ আইনে মা-বাবা বা আদালতের অনুমতিতে মেয়ের বয়স একটু কম হলেও করা যায়।
কোর্ট ম্যারেজ করতে কি কি ডকুমেন্ট লাগে
ক) ছেলে মেয়ে উভয়ের বয়স প্রমাণের জন্য যে কোন একটা গ্রহণযোগ্য ডকুমেন্ট লাগবে। যেমনঃ এন আই ডি, জন্মনিবন্ধন, পাসপোর্ট অথবা যে কোন বোর্ড পরিক্ষার সার্টিফিকেট। (যে কোন একটা হলেই হবে)।
খ) ছেলে মেয়ে উভয়ের পাসপোর্ট সাইজের তিন কপি করে ছবি। (হিন্দু হলে ৪ কপি)
গ) প্রাপ্ত বয়স্ক দুই জন স্বাক্ষী। ( হিন্দু হলে ৪ জন)
কোর্ট ম্যারেজ করতে কত টাকা লাগে
কেউ বলবে ৫০ টাকা , কেউ বলে ২০০ আবার কেউ বলে ৩০০ টাকা। কিন্তু বাস্তবে কোনোটাই নির্দিষ্ট নয়। জুন ২০২২ থেকে ৩০০ টাকার স্ট্যাম্প লাগে এটা নির্দিষ্ট কিন্তু এছাড়াও অনেক খরচ আছে। যেহেতু একজন অ্যাডভোকেট এবং একজন প্রথম শ্রেণীর ম্যাজিস্ট্রেট বা নোটারি পাবলিকের স্বাক্ষর লাগে। সেহেতু এখানে মূল খরচ হল সম্মানি, এই সম্মানি অ্যাডভোকেটের অভিজ্ঞতা, সিনিয়র জুনিয়রের উপর অনেকাংশে নির্ভর করে।
আইনে যেহেতু কোর্ট ম্যারেজকে বিয়েই বলছে না সেহেতু রেজিস্ট্রেশন করতে হবে।
বিয়ের রেজিস্ট্রেশন খরচ ২০২৩
রেজিস্ট্রেশন ফি ২০২২ পর্যন্ত প্রতি লাখে ছিল ১২৫০ টাকা কিন্তু ২০২৩ থেকে প্রতি লাখে ১৫০ টাকা করে বিয়ের খরচ বাড়ানো হয়েছে।
বিধিমালা, ২০০৯ (সংশোধন ২০২২)-এর ২১ বিধি অনুযায়ী বিয়ের রেজিস্ট্রেশন ফি, কাবিনামার ৫ লাখ পর্যন্ত প্রতি লাখে ১৪০০ টাকা এবং পরবর্তী প্রতি লাখে ১০০ টাকা।
- এক লাখ কাবিননামায় বিবাহের রেজিস্ট্রেশন ফি ১৪০০ টাকা =১৪০০ টাকা
- দুই লাখ কাবিননামায় বিবাহের রেজিস্ট্রেশন ফি +১৪০০ টাকা = ২৮০০ টাকা
- তিন লাখ কাবিননামায় বিবাহের রেজিস্ট্রেশন ফি +১৪০০ টাকা = ৪২০০ টাকা
- চার লাখ কাবিননামায় বিবাহের রেজিস্ট্রেশন ফি +১৪০০ টাকা = ৫৬০০ টাকা
- পাঁচ লাখ কাবিননামায় বিবাহের রেজিস্ট্রেশন ফি +১৪০০ টাকা = ৭০০০ টাকা
- ছয় লাখ কাবিননামায় বিবাহের রেজিস্ট্রেশন ফি +১০০ টাকা = ৭১০০ টাকা
- সাত লাখ কাবিননামায় বিবাহের রেজিস্ট্রেশন ফি +১০০ টাকা = ৭২০০ টাকা
- আট লাখ কাবিননামায় বিবাহের রেজিস্ট্রেশন ফি +১০০ টাকা = ৭৩০০ টাকা
কোর্ট ম্যারেজের সুবিধা অসুবিধা এবং সতর্কতা
অসুবিধা
কোর্ট ম্যারেজের সুবিধা বলতে কিছু নেই বললেই চলে, যা আছে তা সবই অসুবিধা। যেমন বিয়ে প্রমাণ করা যায় না, প্রতারণার সম্ভাবনা বেশি থাকে, রাষ্ট্রীয় আইন এই বিয়ের স্বীকৃতি দেয় না, ছেলে মেয়ের বাবা-মা মামলা করলে ঝামেলা এড়ানোর উপায় থাকে না, এছাড়া নানাবিধ সমস্যা আছে।
সুবিধা
সুবিধা তখন, যখন বিয়েটা রেজিস্ট্রেশন হয় এবং অতিরিক্ত সাপোর্ট হিসাবে কোর্ট ম্যারেজ করা হয়। ছেলে মেয়ে যদি প্রাপ্ত বয়স্ক হয় এবং বাংলাদেশের আইন অনুযায়ী রেজিস্ট্রেশন সহ এই চুক্তিপত্রে আবদ্ধ হয়, তাহলে বিয়ে আইনের দৃষ্টিতে গ্রহণযোগ্য হয়। এমন কি ছেলে মেয়ের বাবা-মা মিথ্যা মামলা করলে এই চুক্তিপত্র অতিরিক্ত সাপোর্ট হিসাবে কাজ করে। কারন এই চুক্তিপত্রের স্ট্যাম্পে ছেলে মেয়ে উভয় স্বেচ্ছায় স্বজ্ঞানে বিয়ে করতেছে এই মর্মে স্বাক্ষর থাকে, এছাড়াও নোটারী পাবলিক এবং আইনজীবীর স্বাক্ষর থাকে।
সতর্কতা
উঠন্ত বয়সের ছেলে মেয়েরা বাবা-মার অজান্তে হুট হাট বিয়ের সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলে। আবেগের বসে এই সিদ্ধান্ত অনেক সময় ভালো হয় না। বিয়ের আগে আবেগ থাকে, সব মানতে রাজি কিন্তু বাস্তবতা অন্যকিছু বলে। বিয়ের পরে আবেগ সাধারণত কমে যায়, তখন সঙ্গীর ছোট ছোট ভুল মেনে নেওয়া যায় না, ফলাফল হয় ডিভোর্স।
এই বিষয়ে কাজ করার সুবাদে নিজস্ব কিছু অভিজ্ঞতা আছে…
বিয়ের দুই দিন পার হতে না হতেই, ডিভোর্সের জন্য ফোন করে। দেখা যায় এক সপ্তাহের মধ্যে ডিভোর্স হয়ে যায়। কারণ ফ্যামেলি মানছে না! কথা হলো ফ্যামেলি নিয়ে যদি আপনার এত চিন্তাই থাকতো, তাহলে তো তাদের অজান্তে বিয়েই করতেন না। বিয়ে করলেন তাহলে আবার ফ্যামেলির কথা ভেবে আবার ডিভোর্স দিচ্ছেন। বিয়েটা করার আগে ভাবা উচিত ছিল না?।
আমরা চাই প্রতিটা ভালোবাসাই পূর্ণতা পাক কিন্তু সেটা মা-বাবার অজান্তে না। চেষ্টা করেন মা বাবাকে বুঝাতে-মানাতে, দেখবেন এক সময় মেনে নেবে। বিশ্বাস করেন বিয়ের আগে মনে হবে, মা-বাবা না মানলে কি? কিন্তু কিছু দিন পরে দেখবেন এভাবে আর চলে না। সুতরাং মা-বাবার দোয়া নিয়েই আপনার নতুন জীবনের শুরু করেন।
মোবাইলঃ ০১৫১৫-৬১৫৭৮৬ ফেসবুক মেসেঞ্জার