কোর্ট ম্যারেজ কি?
কোর্ট ম্যারেজ হল বিবাহের চুক্তি। একটি ছেলে এবং একটি মেয়ে একে অপরের সাথে স্বামি-স্ত্রী হিসাবে হলোফ করেকে আমরা কোর্ট ম্যারেজ বলে থাকি। ননজুডিশিয়াল স্ট্যাম্পে ছেলে মেয়ের হলফ লেখে, নোটারি পাবলিক বা ১ম শ্রেণির ম্যাজিস্ট্রেটের স্বাক্ষরপূর্বক একজন আইনজীবীর সাক্ষর দিয়ে উক্ত হলাফনামা সম্পূর্ণ করা হয়। সকল ধর্মের জন্য এই প্রক্রিয়া একই হয়ে থাকে, কিন্তু এর পর যার যার ধর্ম অনুজায়ী বিবাহ রেজিস্ট্রি করে বিবাহ সম্পর্ণ করতে হয়।
হিন্দু বিবাহ রেজিস্ট্রার এবং হিন্দু বিবাহ রেজিস্ট্রি আইন বাংলাদেশ
২০১২(২০১২ সনের ৪০ নং আইন) এ হিন্দু বিবাহ রেজিস্ট্রার বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক নিয়োগ প্রাপ্ত একজন হিন্দু কাজী ।
হিন্দু বিবাহের প্রমাণ সুরক্ষার জন্য হিন্দু বিবাহ বিধি দ্বারা নির্ধারিত পদ্ধতিতে, নিবন্ধন করা যাবে।
এস, আর, ও নং ৩০-আইন/২০১৩, তারিখ: ২৭ জানুয়ারি, ২০১৩ ইং দ্বারা ১৪ মাঘ, ১৪১৯ বঙ্গাব্দ মোতাবেক ২৭ জানুয়ারি, ২০১৩ খ্রিস্টাব্দ উক্ত আইন কার্যকর হইয়াছে।
হিন্দু বিবাহ নিবন্ধক রেজিস্ট্রার এডভোকেট অফিস ঢাকা জজ কোর্ট ০১৫১৫-৬১৫৭৮৬
মূল আলোচনার শুরুতে বলে রাখি আমরা কোর্ট ম্যারেজ করতে উৎসাহিত করছি না। অনেক সময় ফ্যামেলি গত ভাবে বিবাহতেও কোর্ট ম্যারেজ করা হয়।
হিন্দু কোর্ট ম্যারেজ কিভাবে করব
কোর্ট ম্যারেজ কে বিবাহ বলা যায় না, কারণ আইনের দৃষ্টিতে এর গুরুত্ব খুব কম। কোর্ট ম্যারেজ বিবাহের ঘোষণা মাত্র।
একটি উদাহরেনের মাধ্যমে বিষয়টি আলোচনা করা যাক…
মনে করেন আপনি একটা ছোট চারা গাছ লাগালেন। গাছের পাশে একটা কাঠি গেড়ে সুন্দর ভাবে বেধে দিলেন। তাহলে গাছটি অতিরিক্ত একটা সাপর্ট পেল। প্রাথমিক অবস্থায় গাছটিকে এই কাঠিটা যে কোন প্রতিকুল আবহাওয়া ঝড় বাতাস থেকে রক্ষা করতে পারবে। তেমন…
যখন বিবাহ রেজিস্ট্রি সহ পুরোহিত দ্বারা মন্ত্র পাঠ, মালা বদল, সাত পাক, শাঁখা সিঁদুর ইত্যাদি কাজ সম্পন্ন করে মন্দিরে বিবাহ করবেন। যাবতীয় প্রয়োজনীয় কাগজ পত্র সংগ্রহ করবেন। অতিরিক্ত সাপর্ট হিসাবে কোর্ট ম্যরেজ করবেন, তখন আপনার এই বিবাহ প্রাথমিক অবস্থায় যে কোন ঝামেলা, মামলা ঝামলা থেকে রক্ষা করবে।
অন্য দিকে যদি আপনি শুধু কোর্ট ম্যারেজ করেন তাহলে খালি জায়গায় একটা কাঠি লাগানোর মত অবস্থা হবে। কাঠি ঠিক থাকবে কিন্তু গাছটা-ই তো নেই!! সুতরাং রেজিস্ট্রি করে কোর্ট ম্যারেজ করা নিরাপদ।
মন্দিরে বিবাহ করতে কি কি লাগে?
১। শাখা সিঁদুর
২। ফুলের মালা
৩। হরিতকি
৪। পান
৫। গামছা
৬। মালা দাগা
কোর্ট ম্যারেজ করতে বয়স কত লাগে?
হিন্দু বিবাহের ক্ষেত্রে ছেলের বয়স ২১ বা তার বেশি এবং মেয়ের বয়স ১৮ বা তার বেশি হতে হবে। ছেলে ২১ এবং মেয়ে ১৮ এর বেশি না হলে হিন্দু বিবাহ নিবন্ধন বা কোর্ট ম্যারেজ করা যাবে না।
কোন প্রাপ্ত বয়স্ক ( ছেলে ২১, মেয়ে ১৮) ছেলে মেয়ে বিয়ের ব্যাপারে যে কন সিদ্ধান্ত নিতে পারে। এটা তাদের আইনি অধিকার।
সূতারাং কোন প্রাপ্ত বয়স্ক ( ছেলে ২১, মেয়ে ১৮) ছেলে মেয়ে যদি বিবাহ রেজিস্ট্রি সহ পুরোহিত দ্বারা মন্ত্র পাঠ, মালা বদল, সাত পাক, শাঁখা সিঁদুর ইত্যাদি কাজ সম্পন্ন করে, মন্দিরে বিবাহ করে। তার পর কোর্ট ম্যারেজ করে, তাহলে এই বিবাহ ১০০% সর্বদা গ্রহন যোগ্য হয়।
এমন কি ৩য় কোন পক্ষ এ বিষইয়ে মামলা ঝামলা করে কোন প্রকার ঝামেলা করতে পারে না। কারন এই বিবাহ সমাজ ধর্ম তথা রাষ্ট, আইন সব জায়গায় বৈধ। আমাদের নিজেস্ব রেজিস্ট্রার আছে এবং হিন্দু আইন অনুসারে সম্পুর্ণ কাজ সম্পাদন করা হয় (০১৫১৫-৬১৫৭৮৬)।
হিন্দু কোর্ট ম্যারেজ করতে কি কি লাগে
১। চার জন প্রাপ্ত বয়স্ক সাক্ষি।
২। তিন কপি ছবি। (ছেলে মেয়ে উভয়ের)
৩। এন আই ডি/ এস এস সি, এইচ এস সি সনদ/ জন্ম সনদ। (ছেলে মেয়ে উভয়ের)
এ ক্ষেত্রে অবশ্যই নিম্নে উল্লেখিত কাগজ পত্রগুলো সংগ্রহ করছেন কি না সে দিকে খেয়াল রাখুন…
কোথায় করবো
যেহেতু কোর্ট ম্যারেজ করতে নোটারি পাবলিক, প্রথম শ্রেণীর ম্যাজিস্ট্রেট, এডভোকেট দরকার, সেহেতু কোর্টে গিয়ে কোর্ট ম্যারেজ করতে পারেন। যে কোন জাইগায় বিবাহ রেজিস্ট্রার পাওয়া যায় কিন্তু কোর্টের বাইরে একই সময় একজন এডভোকেট, একজন নোটারি পাবলিক বা প্রথন শ্রেণীর ম্যাজিস্ট্রেট পাওয় যায় না। সূতারাং কোর্টে কোর্ট ম্যারেজ করাটাই নিরাপদ।
হিন্দু ম্যারেজ সার্টিফিকেট by রেজিস্ট্রার
হিন্দু বিবাহ নকলনামা by রেজিস্ট্রার
হিন্দু কোর্ট ম্যারেজ সার্টিফিকেট/ হিন্দু কোর্ট ম্যারেজের নমুনা কপি ফরম by এডভোকেট
হিন্দু বিবাহের হলফনামার নমুনা ফরম
যোগাযোগঃ messenger
Phone: 01924-11 91 84, বা 01515-615786
Email: admin@marriagedivorcelawyerdhakabd.com বা focuse.unique60@gmail.com