হিন্দু ডিভোর্স আইন
হিন্দু ডিভোর্স আইন বলতে কিছু নেই, কারন হিন্দু আইনে ডিভোর্স হয় না। তবে পারিবারিক আদালতের মাধ্যমে সেপারেসন করা যায়। আজ আমরা সেপারেসন বিষয়ে আলোচনা করব।
আগের দিনের হিন্দু বিবাহ শুধু মাত্র ধর্মিয় বিধান মেনে সম্পূর্ণ করা হত। মন্দিরে পুরোহিত দ্বারা মন্ত্র পাঠ করে আগ্নিকে সাক্ষী রেখে সাত পাকে বাঁধা হত দুজনের আমরণ বন্ধন। বিবাহের কোন প্রমাণ থাকত না।
বর্তমান হিন্দু আইনে ২০১২ অনুসারে বিবাহ নিবন্ধন করা যায়। হিন্দু বিবাহের প্রমান পত্র হিসাবে ম্যারেজ সার্টিফিকেট দেওয়া হয়। আর এই প্রমান পত্র দেখিয়ে বিচ্ছেদের সুযোগ থাকে। তবে এটাই সত্য যে হিন্দু আইনে ডিভোর্সের কোন সুযোগ নেই।
হিন্দু সেপারেসন প্রক্রিয়া
যখন কোন স্বামী-স্ত্রী কোন ভাবেই তাদের সম্পর্ক চালায় যেতে পারেন না, তখন তারা পারিবারিক আদালতে বিচ্ছেদের আবেদন করতে পারেন। আবেদনের পেক্ষিতে পারিবারিক আদালত স্বামি-স্ত্রী দুই পক্ষকে ডাকবে এবং তাদের মাঝে সমঝোতার চেষ্টা করবে।
একটা পর্যায়ে আদালত এক বছর আলাদা থাকার নির্দেশ দিতে পারে। এর পরেও যদি স্বামী-স্ত্রীর মাঝে সংসার করারর ইচ্ছা তৈরী না হয়, তাহলে আদালত চূরান্ত সেপারেসনের নির্দেশ দেবে। কিন্তু হিন্দু আইনে ডিভোর্স হয় না, শুধু মাত্র সেপারেসন সম্ভাব।
এই সেপারেসন সম্পূর্ণ কোর্টের রায়ের উপর নির্ভর করে, কোর্ট যে নির্দেশ দেয় সেটাই চুরান্ত। কোর্ট যদি সেপারেসন দেয়, তাহলে আদালত স্ত্রীর ভরণপোষণ বাবদ কিছু টাকা নির্ধারণ করতে পারে যা স্বামী স্ত্রীকে দেবে। এই ভরণপোষণ সাধারণত একটা নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত হয়ে থাকে।
আদালত কর্তৃক চুড়ান্ত সেপারেসন হয়ে গেলে ,আদালতের সিদ্ধান্ত অনুযায়ি তারা অন্য কথাও বিবাহ করতে পারে।
যোগাযোগঃ messenger
Phone: 01924-11 91 84, বা 01515-615786
Email: admin@marriagedivorcelawyerdhakabd.com বা focuse.unique60@gmail.com